নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্যাপক ঋণ জালিয়াতির কারণে ব্যাংক খাত পুনরুদ্ধার কার্যক্রমকে বাধাগ্র¯’ করছে। ঋণ জালিয়াতির কারেণ ঋণ আদায় হ”েছ না। ফলে ব্যাংকগুরেলার খেলাপি ঋণ বেড়ে গিয়ে মূলধন ঘাটতি বাড়িয়ে দি”েছ। যা ব্যাংকগুলোর দুর্বলতা সামনে নিয়ে এসেছে। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে তিন বাধা হয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহে দুর্বল প্রবৃদ্ধি, শিল্পের মূলধন যন্ত্রপাতির আমদানি হ্রাস এবং বিনিয়োগের কমে যাওয়া।
মঙ্গলবার প্রকাশিত মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরি¯ি’তি এপ্রিল জুন ২০২৫’ শীর্ষক ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এসব বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংক খাতে বর্তমানে যেসব সমস্যা রয়েছে তারগুলোর মধ্যে বেশির ভাগের সৃষ্টি হয়েছে ঋণ জালিয়াতির কারণে। জালিয়াতির মাধ্যমে বের করে নেওয়া ঋণ এখন আদায় হ”েছ না। অথচ অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে ঋণ আদায় বাড়ানো জরুরী। জালিয়াতির ঋণ আদায় না হওয়ায় ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে যা”েছ। যা ব্যাংক খাতের মূলধন ঘাটতিকে বাড়িয়ে দি”েছ। এতে ব্যাংক দুর্বল হয়ে যা”েছ।
ব্যাংক খাত পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের উল্লেক করে তারা বলেছে, আর্থিক খাতের সুশাসনের উন্নতি এবং ব্যাংকের প্রতি জনসাধারণের আ¯’া পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে চলমান সংস্কার কার্যক্রমগুলোকে এগিয়ে নিতে হবে। এ খাতে শৃংখলা ফিরিয়ে এলে ও গতিশীল হলে প্রবৃদ্ধির হার যেমন বাড়বে, তেমনি দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক ¯ি’তিশীলতা নিশ্চিত করার সুযোগ তৈরি হবে।
এতে আরও বলা হয়, প্রবৃদ্ধিও গতি এখনও মš’র রয়েছে। তবে তা ধীওে ধীরে বাড়ছে। রপ্তানি আয় এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ¯ি’তিশীল করতে সহায়তা করেছে। পাশাপাশি এ কারণে অর্থনীতিতে কিছুটা প্রাণশক্তি সঞ্চার হয়েছে।
অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাড়ানোয় বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহে দুর্বল প্রবৃদ্ধি। শিল্পের মূলধন যন্ত্রপাতির আমদানি হ্রাস এবং বিনিয়োগের কমে যাওয়া। এই সবই অর্থনৈতিক গতির ধীরগতিতে অবদান রেখেছে। অর্থনীতিকে গতিশীল করতে হলে এসব খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাম্প্রতিক তথ্য উদ্ধৃত করে এমসিসিআই বলেছে, বিদায়ী অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে আগের প্রান্তিকের তুলনায় প্রবৃদ্ধিও হার বেড়েছে। যা উন্নতির একটি ইতিবাচক লক্ষণ। মূল্যস্ফীতির হারও কিছুটা কমেছে। তবে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার এখনও ১০ শতাংশের ওপরে রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, পয়েন্ট পু পয়েন্ট (চলতি বছরের যে কোন মাসের তুলনায় আগের বছরের ওই মাসে) মূল্যস্ফীতির হার কমছে। ফলে আগামীতে বার্ষিক গড় মূল্যস্পীতিও কমবে। এখন বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতিতে আগের মাসগুলোর চড়া মূল্যস্ফীতির হার হিসাবে আনায় বার্সিক গড় মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে।
