নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা বহুবার গণঅভ্যুত্থানের সাক্ষী হয়েছি—১৯৫২, ১৯৬৯, ১৯৯০ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে। প্রতিবারই জনগণ তাদের শক্তি দেখিয়েছে, কিন্তু সেই শক্তির স্থায়ী বিজয় আমরা দেখতে পাইনি।
শনিবার শহীদ মিনারে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো বিলোপ, চব্বিশের গণহত্যাসহ পাহাড় ও সমতলের সব হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং নব্য ফ্যাসিবাদী প্রবণতা প্রতিহতের দাবিতে শনিবার শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার দ্রোহযাত্রা দিবস পালিত হয়েছে।
গত বছর ২ আগস্ট ‘গণগ্রেপ্তার বন্ধ, আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি, হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘শিক্ষার্থী-জনতা দ্রোহযাত্রা’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিল হাজারো মানুষ। ছাত্র-নাগরিক হত্যার প্রতিবাদে সেদিন শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ দাবি উঠেছিল।
শনিবার বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পদযাত্রা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কলাভবন, কাঁটাবন ঘুরে শাহবাগ মোড়ে গিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়। এর আগে শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মূকাভিনয় আয়োজন করা হয়। বক্তব্য দেন শহিদ মিরাজ হোসেনের বাবা মো. আব্দুর রব, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, মাইকেল চাকমা প্রমুখ।
শহীদ মিরাজ হোসেনের বাবা আব্দুর রব বলেন, জুলাই-আগস্টে উত্তাল রাজপথে ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন মিরাজ। তিনি সরকারের কাছে শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ ও জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবি জানান। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন সরকার গঠিত হলেও জনগণ আজও আশা-নিরাশার দোলাচলে রয়েছে। এই সরকার যদি নতুন রূপের স্বৈরতন্ত্র কায়েম করে, তাহলে জনগণের দীর্ঘদিনের লড়াই বৃথা যাবে।
