নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নিজের লেখা একটি গান উপহার দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের মিশন প্রধান আন্দ্রে কার্সটেন্স। বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে তিনি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, পূর্ববর্তী সরকার অপসারিত হওয়ার পর বাংলাদেশ যে অন্তর্বর্তী সময় পার করছে, তা দক্ষতার সাথে সামাল দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা।
সম্প্রতি ঘোষিত ‘জুলাই ঘোষণা’ প্রসঙ্গে ডাচ রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা দেশের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের সাথে জুলাই গণজাগরণের আকাক্সক্ষার মধ্যে একটা সেতু হিসেবে কাজ করছে।
আলোচনায় চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়টিও উঠে আসে। আগামী সেপ্টেম্বরে বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের যে পরিকল্পনা রয়েছে, সেটি নিয়েও আলোচনা করেন তারা। এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক ও রাজনৈতিক সমস্যাগুলো সমাধান করা।
সাক্ষাৎকালে ব্যতিক্রমধর্মী এক উপহারও দেন বিদায়ী রাষ্ট্রদূত। তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে নিজের লেখা ও গাওয়া একটি গান উপহার দেন। গানটি বাংলাদেশের ‘জেনারেশন জেড’-এর নেতৃত্বে ঘটে যাওয়া ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’-এর প্রশংসায় লেখা হয়েছে। এটির সুর নেয়া হয়েছে জর্জ হ্যারিসনের বিখ্যাত ‘বাংলাদেশ’ গান থেকে। কার্সটেন্সের লেখা এই গান ভিডিওসহ রেকর্ড করে প্রধান উপদেষ্টাকে উপহার দেয়া হয়।
গানের কথাগুলো ছিল এরকম-
‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ
বন্ধুসুলভ মানুষদের দেশ,তারা ভালো করছে
বিপ্লবের মাধ্যমে খুলেছে পথ
তাদের অধিকারের কথা বলার জন্য
এটা কেবল কল্পনা নয়, একটি পবিত্র গাথা
বাংলাদেশের মানুষের জন্য চূড়ান্ত আকাক্সক্ষা।’
‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ
বঙ্গোপসাগরের তীরে এক নব-জীবনের উত্থান
বিপ্লবের মাধ্যমে খুলেছে পথ
বহু বছর বিভ্রান্তির পর
জেন-জি দেখিয়েছে পথ
দুঃস্বপ্নকে দিনে পরিণত করেছে।’
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
