সফিক উদ্দিন
আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পরিষদের সোমবারের বৈঠকে বাংলাদেশের অনুক’লে
ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়টি প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদ। ওই বৈঠকে বাংলাদেশের অনুক’লে আইএমএফের ঋণের দুই কিস্তির অর্থ ছাড় করার প্রস্তাবটি উত্থাপিত হলে তা অনুমোদন করা হয়। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ঋণের অর্থ বাবদ ১৩০ কোটি ডলার বাংলাদেশ পেয়ে যাবে। ঢাকায় পাওয়া খবরে এ তথ্য জানা গেছে। বৈঠকের পর আইএমএফের পক্ষ থেকে বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে জানানো হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে আইএমএফের সদর দপ্তরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টায়।
আইএমএফের অর্থ ছাড় হলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও বাড়বে। আইএমএফের শর্ত মানার পর ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, এশীয় অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যাংক থেকেও ঋণ ছাড় করা হচ্চে। ফলে বাংলাদেশ দীর্ঘ দিন ধরে যে ডলার সংকটে ভুগছিল তা থেকে উত্তরণ ঘটবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশা করছে।
গত বছরের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের অনক’লে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর মধ্যে তিনটি কিস্তিতে ২৩১ কোটি ডলার ছাড় করা হয়েছে। শর্ত না মানায় চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় করেনি সংস্থাটি। দীর্ঘ সময় দরকষাকষির পর আইএমএফ দুই কিস্তির অর্থ এক সঙ্গে ছাড় করার সিন্ধান্ত দিয়েছে।