নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে বেশ উচ্ছাস প্রকাশ করে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে যে কোনো হুমকি থেকে দেশকে রক্ষা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগে দুই নেতাই উভয়ের পক্ষে বেশ জোরালো প্রচারণা চালান। যৌথভাবে বিভিন্ন সম্মেলনেও যোগ দেন তারা। নিজেদেরকে বন্ধু বলেও পরিচয় দিতেন। এর নজিরও স্থাপন করেন নরেন্দ্র মোদি। ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব নেতাদের মধ্যে তিনিই প্রথম হোয়াইট হাউস সফর করেন। কিন্তু ছয় মাস না যেতেই সেই চিত্র পুরো পাল্টে গেছে। কঠিন বাস্তবতার আঘাতে বিদ্ধ হয়েছে ভারত। তাদের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এটি কার্যকর হওয়ার পর এখন আরও ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ৫০ শতাংশ।
ট্রাম্পের ক্ষোভের কারণ রাশিয়াৎ থেকে ভারতের তেল আমদানি। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাশিয়ার ওপর চাপ দিতেই ভারতকে বারবার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প। কিন্তু ভারত এই হুমকি আমলে না নিয়ে ভারত থেকে তেল আমদানি করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ভারতের উপর আরোপিত অন্যতম সর্বোচ্চ শুল্ক হার এটি। এই নতুন শুল্ক কার্যকর হবে ২১ দিনের মধ্যে, অর্থাৎ ২৭ আগস্ট থেকে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ানোয় এই পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশিয়া থেকে আমদানির বিষয়ে ভারতের অবস্থান আগেই স্পষ্ট করা হয়েছে। এই শুল্ক আরোপ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, অন্যায্য এবং অনুচিত। বিশ্বের অনেক দেশই নিজেদের স্বার্থে এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে। তাই শুধু ভারতকে লক্ষ্যবস্তু করা দুর্ভাগ্যজনক। ভারত তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।
এর আগেই ট্রাম্প হুমকি দেন, রুশ তেল কেনা বন্ধ না করলে ভারতকে চড়া মাশুল দিতে হবে। তিনি বলেন, ভারত তোয়াক্কাই করছে না রুশ যুদ্ধযন্ত্রের হাতে কত মানুষ মরছে ইউক্রেনে।
