নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এর আগে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন ধাপে ধাপে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষনা করা হবে। আগামী ডিসেম্বরের শুরু দিকে তফসিল ঘোষনা করা হতে পারে।
এর আগে গত ৫ আগস্ট জুলাই বিপ্লব দিবস উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা িআগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে জাতীয় নির্বাচনের অনুষ্ঠানের ঘোষনা দিয়েছেন।
এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বুধবার দুপুরে রাজধানীর নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করার জন্য বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছি। প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি হবে না। আমরা ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ করছি। বিশেষ করে, যারা ডিসেম্বরের মধ্যে ১৮ বছর পূর্ণ করবে, তাদের নতুন ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে আইন সংশোধন করা হয়েছে। ভোটার রেজিস্ট্রেশন, প্রশিক্ষণ, প্রকিউরমেন্ট ইত্যাদি কাজ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করতে চাই।
সূত্র জানায়, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে রোডম্যাপ তৈরি এবং তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতিও চলছে। তফসিল ডিসেম্বরের শুরুর দিকে হতে পারে। রোডম্যাপ ধাপে ধাপে প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। একমাসের পরিকল্পনা নিয়ে রাজনৈতিক দল, সিভিল সোসাইটি, মিডিয়াসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের একটি খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। আপত্তি ও শুনানি শেষে নিরপেক্ষ এবং বৈজ্ঞানিকভাবে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হবে। নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলছে। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই, স্ক্রুটিনি এবং আপত্তি গ্রহণের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়া সেপ্টেম্বরের মধ্যেই শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে কমিশনের। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ও নিরপেক্ষ রাখার লক্ষ্য নিয়ে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ডিসি, এসপি, প্রশাসন, পুলিশ, ডিজিএফআই, এনএসআই- সবাইকে দলীয় পক্ষপাত ছাড়াই নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশন থেকে।
কমিশন মনে করে, এখন এক নাম্বার চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। বিগত সরকারের সময়ে ভোটাররা নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা হারিয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর আস্থা হারিয়েছে। এবারের নির্বাচনের ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এজন্য ম্যাসিভ অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন চালানো হবে।
যারা আগের নির্বাচনে পক্ষপাতদুষ্ট ছিল, তাদেরকে আগামী নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হবে না।
