আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আরও ২৮টি কোম্পানির জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা উপকরণ করোনারি স্টেন্টের বা হার্টের রিংয়ের দাম কমানো হবে। একইসঙ্গে ইতিমধ্যে কমানো তিনটি কোম্পানির ১০ ধরনের স্টেন্টের নতুন দাম অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
ধমনীতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে হৃদ্যন্ত্রের স্বাভাবিক ক্রিয়া সচল রাখতে এনজিওপ্লাস্টির মাধ্যমে স্টেন্ট বা করোনারি স্টেন্ট পরানো হয়। প্রচলিত ভাষায় এটি ‘রিং’ হিসেবে পরিচিত।
গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল ডিভাইসের দাম সহনীয় রাখা এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকার স্টেন্ট, পেসমেকার, বেলুন, ক্যাথেটারসহ বিভিন্ন যন্ত্রের মূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞ পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়। তিন দফা বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি কোম্পানির স্টেন্টের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়। প্রতিবেশী দেশের মূল্য, ট্যাক্স-ভ্যাট ও অন্য খরচ বিবেচনায় নিয়ে স্টেন্টের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয় ৩ আগস্ট। সেখানে তিন কোম্পানির ১০ ধরনের রিংয়ের দাম কমানো হয়।
বাংলাদেশে হার্টের রিং তৈরি হয় না, এটি সম্পূর্ণ আমদানিনির্ভর। বর্তমানে নিবন্ধিত ৩১টি কোম্পানি স্টেন্ট আমদানি করে। আর আমদানি করা মোট স্টেন্টের প্রায় ৫০ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি কোম্পানির। এজন্য তাদের দাম আগে কমানো হয়েছে। বাকি কোম্পানিগুলোর স্টেন্টের দামও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, তাদের কাছে আগের দামে কেনা স্টেন্টের মজুত রয়েছে। কেউ বলছে, ৬ মাসের মজুত, কেউ বলছে ৩ বছরের। অন্যদিকে, দাম কমানোর খবর গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় রোগীদের স্বজনরা হাসপাতালগুলোতে নতুন দামে স্টেন্ট দিতে চাপ দিচ্ছেন। এ অবস্থায় নতুন দাম কার্যকরের তারিখ ঘোষণা করা হয়।দেশে প্রতি বছর অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ হাজার করোনারি স্টেন্টের প্রয়োজন হয়। যদি দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠান এই উপকরণ তৈরি করতে চায়, তাহলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
