নিজস্ব প্রতিবেদক
আয়নাঘর বা গোপন আটক কেন্দ্র। বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে সামরিক বাহিনী বা পুলিশ, র্যাব কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত বলপূর্বক গুমের শিকারদের আটক ও নির্যাতন কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা হতো। বিশেষ করে সরকারের সমালোচনা যারা করতেন তাদেরকে আয়না ঘরে বন্দী রেখে নির্যাতন করা হতো। এছাড়া সরকার যাকে নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে প্রতিদ্বন্ধি মনে করতো তাদেরকেও এখানে আটকে রেখে নির্যাতন করা হতো।
আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে আয়না ঘরের সন্ধান মিলে। প্রথমে সরকার এ ধরনের আয়না ঘরের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছিল। পরে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আয়না ঘরের তথ্য প্রমাণ ব্যাপকভাবে প্রকাশিত হলেও এটিকে স্বীকার করেনি।
গত বছরের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর আয়না ঘর থেকে আটকরা লোকজন বেরিয়ে আসতে থাকে। তারা ফিরে এসে আয়না ঘরের ভয়ংকর বিবরণ দিতে থাকে। যা শিউরে ওঠার মতো। আয়না ঘরে সরকার অনেককে বিধি বহির্ভূতভাবে বন্দী করে রেখেছিল্ তাদেরকে ঠিকমত খাবার দেওয়া হতো। ছোট্ট একটি ঘরে ২৪ ঘন্টা তাকতে হতো। কোন আলো বাতাসের সুযোগ ছিল না। ঘরে সর্বক্ষণ তাকতো সিসি ক্যামেরা। লাইট জ্বালানো থাকতো সব সময়। এছাড়া বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করেও নির্যাতন করা হতো।
