নিজস্ব প্রতিবেদক
ডলারের দাম কমায় অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার দামও কমতে শুরু করেছে। ডলারের সঙ্গে সম্পর্কিত ইউরো, পাউন্ডের দামও কমেছে। গত জুনের শুরুতে আন্ত:ব্যাংকে ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১২৩ টাকায় ওঠেছিল। সোমবার আন্ত:ব্যাংকে প্রতি ডলারের দাম ছিল গড়ে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা। এদিন ডলারের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ম দামও একই পর্যায়ে চলে আসে। এদিকে ব্যাংকগুলোতে ডলারের প্রবাহ বাড়ায় আন্ত:ব্যাংকে লেনদেনও বেড়েছে।
সোমবার আন্ত:ব্যাংকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক মুদ্রা ইউরো বিক্রি হয়েছে ১৪২ টাকা ১৪ পয়সা। আগে ছিল ১৫০ টাকা। যুক্তরাজ্যেও মুদ্রা পাউন্ড বিক্রি হয়েছে ১৬৪ টাকা ৬৮ পয়সায়। আগে ছিল ১৭০ টাকা। ভারতয়ি মুদ্রা রূপী বিক্রি হয়েছে ১ টাকা ৩৮ পয়সা। আগে ছিল ১ টাকা ৪২ পয়সা।
এদিকে আন্ত:ব্যাংকে ডলারের দাম কমার কারণে ব্যাংকগুলোর গ্রাহকদের কাছে ডলার বিক্রির দামও কমেছে। পাশাপাশি অন্যান্য মুদ্রা গ্রাহকদের কাছে বিক্রির দামও কমেছে। গ্রাহকদের কাছে ব্যাংকগুলো ডলার বিক্রি করছে গড়ে ১২২ টাকা ৩৯ পয়সা। পাউন্ড বিক্রি করছে ১৬৮ টাকা ৩২ পয়সায়। ইউরো বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা ৬৬ পয়সায়। আগে এসব মুদ্রার দাম আরও বেশি ছিল।
এদিকে মার্কিন প্রশাসন বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানিতে বাড়তি শুল্ক আরোপ করার পর বৈশ্বিকভাবে ডলারের দাম কমতে শুরু করেছে। এ কারণে বৈশ্বিকভাবে ডলারের পাশাপাশি অন্যান্য মুদ্রার দাম আরও বেশি কমেছে। কিন্তু বাংলাদেশে ডলারের দাম স্থিতিশীল থাকায় ওই হারে দাম কমেনি।
